সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪

ত্রিশালে ছাত্রলীগ নেতাদের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী

মোমিন তালুকদার, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও SDG আর্জনের লক্ষ্যে  বৃক্ষরোপন  কর্মসূচী আয়োজন করেছে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা রাশেদুল হাসান রাশেদ ও ছাত্রলীগ নেতা ইরতিজা রিয়ন।

সোমবার বিকেলে ময়মনসিংহ -৭ ত্রিশাল আসনের সংসদ সদস্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় সংসদীয়  স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ  এমপির বাসভবন এলাকায় এই আয়োজন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার তানিয়া রহমান, উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মাহাবুবুল আলম, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফেরদৌস মোরশেদ সোহান,  সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক মিন্টু, উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি সোয়েল মাহমুদ সুমনসহ শতাধিক  উপজেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে  গাছের চারা রোপন  ও ৫শতাধিক ফলজ, বনজ ও  ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

ত্রিশালে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহে প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

মোমিন তালুকদার, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় প্রাণীসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৪ এ আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন দুখুমিয়া শিশু পার্কে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর (ডিএলএস) এর সহযোগীতায় উপজেলা প্রাণীসস্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল কর্তৃক বাস্তবায়নে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল আসনের সংসদ সদস্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান (এমপি)।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুয়েল আহমেদ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাবেক এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন সরকার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রাণিসস্পদ অফিসার ডা. নাজনীন সুলতানা। অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম স্বপন, উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মাহবুবুল আলম, উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগ সভাপতি সোয়েল মাহমুদ সুমন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক মিন্টু, ত্রিশাল উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফকরুদ্দীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তা কর্মচারী, খামারিবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

ত্রিশালে জিলানী হত্যা মামলার দুই আসামী গ্রেপ্তার

মোমিন তালুকদার, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জমিজমা নিয়া পূর্ব বিরোধের জের ধরে ত্রিশাল উপজেলার খাগাটি ঈদগাহ বাজার মোড়ে পূর্ব পাশে আব্দুল কাদের জিলানী পৌছামাত্রই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওৎপেতে থাকা গ্রেপ্তারকৃত আসামীগনসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা জিলানীকে পেয়ে গুরুতর আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত ডাক্তার  জিলানীকে মৃত ঘোষনা করেন।

নিহত জিলানীর স্ত্রী মোসাম্মৎ সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ত্রিশাল মামলা নং-১২, তারিখ-০৭/০৪/২০২৪ ইং ধারা-১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩০২/১১৪/৫০৬/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।

মামলাটি রুজু হওয়ারপর ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার মামলাটির তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখাকে ন্যাস্ত করেন।
মামলাটি ডিবিতে ন্যাস্ত করার পর ডিবির অফিসার ইনচার্জ ফারুক হোসেন মামলাটি তদন্তের জন্য এসআই (নিঃ) পরিমল চন্দ্র সরকার পিপিএমকে তদন্তের জন্য নির্দেশ করেন।

ডিবির অফিসার ইনচার্জ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসআই (নিঃ) পরিমল চন্দ্র সরকার অভিযান পরিচালনা করে (১৫ এপ্রিল) রাতে ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া বাজার এলাকা থেকে  আসামী- হারুন অর রশিদ (৩৪) ও আনোয়ার হোসেন (২৫) কে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ (১৬ এপ্রিল)  বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।

ঘটনায় জড়িত অপরাপর পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।

ত্রিশালে জি আর প্রকল্পের ঢেউটিন ও চেক বিতরণ

মোমিন তালুকদার, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের মাধ্যমে মানবিক সহায়তা জি আর প্রকল্পের গৃহ নির্মাণের জন্য ঢেউটিন ও চেক বিতরণ করলেন ময়মনসিংহ ৭ ত্রিশাল থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান এমপি।

মঙ্গলবার বিকেলে  উপজেলা পরিষদ চত্বরে  বিতরণী উদ্বোধন করা হয়।

এসময়  উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুয়েল আহমেদ, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ফজলে রাব্বী,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ উদ্দিন, উপজেলা কৃষি অফিসার তানিয়া রহমান, উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগ সভাপতি সোহেল মাহমুদ সুমন,সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুমন,  উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাব্বির আহমেদ সানি ত্রিশাল উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফকরুদ্দীন আহমেদ সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা। বিতরণী অনুষ্ঠানে জি আর প্রকল্পের ৫০ বান ঢেউটিন ও  দেড় লক্ষ টাকার চেক বিতরণ করা হয়। এর মাঝে ৩৫ জন হতদরিদ্র, ৫টি মসজিদ , ২টি ক্লাব ও ২টি মন্দিরের জন্য প্রতি বান ঢেউটিনে ৩ হাজার টাকা করে চেক তুলে দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৪

মুক্তাগাছায় ১৬ দিন যাবত ৬ পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ, দেখার কেউ নেই!!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মুক্তাগাছায় জোর পূর্বক জমি জবরদখল করতে চলাচলের রাস্তায় বাঁশের বেড়া বন্ধ করে দিয়েছে ভূমিদস্যু চক্র। এতে ৬টি পরিবারের অন্তত ৩০-৩৫ জন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। প্রায় ১৬ দিন যাবত বন্ধ রয়েছে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি। উপজেলার দাওগাঁও ইউনিয়নের বাওকপালীয়া গ্রামে মৃত: হযরত আলীর পুত্র সামাদ ও কাজীমদ্দিন গং তাদের চাচা আঃ কাদের ও তার পরিবারের লোকজনসহ মৃত: হযরত আলীর অপর ৩ সন্তান এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের চলাচলের রাস্তাটিতে বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে বন্ধ করে রেখেছে।

 এবিষয়ে প্রতিকারের আশায় মুক্তাগাছা থানা , উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুক্তাগাছা ও স্হানীয় সাংসদ কৃষিবিদ ড. নজরুল ইসলাম বরাবর ( সাংসদের প্রতিনিধির মাধ্যমে) অভিযোগ করার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও রাস্তা অপসারণ হয়নি। লিখিত অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার পাননি অবরুদ্ধ পরিবার গুলো। প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সামাদ গং। রাস্তার বেড়া সরিয়ে নিতে লোক মাধ্যম লাখ টাকা ঘুষ দাবী করা হচ্ছে। প্রশাসনিক নিরবতা ও সামাদ গংদের ক্রমাগত হুমকি এবং চাঁদা দাবী ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন পরিবারগুলো। যেন তাদের দেখার কেউ নেই!! 

জানাগেছে, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশে সামাদ গং দীর্ঘদিন যাবৎ ভূমিদস্যুতা চালিয়ে আসছে। তাদের ভূমিদস্যুতা ও ঘুষ বানিজ্যের স্বীকার হয়েছেন অনেকেই। সামাদ গং এর ভূমিদস্যুতার শিকার হয়ে সিরাজুল ইসলাম নামের চন্দনীআটা গ্রামের এক ব্যাক্তি মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। পরবর্তীতে মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা স্বামী সিরাজুল ইসলামকে রেখে তার স্ত্রীও চলে যায়।  সবকিছু হারিয়ে সিরাজুল ইসলাম এখন পুরো পাগল। অর্থাভাবে তার চিকিৎসাও করাতে পারছেন না তার বৃদ্ধা মা।

স্থানীয়সূত্রে জানাযায়, সামাদ গং অত্র এলাকার চিন্হিত ভূমিদস্যু। ভূমিদস্যু চক্রের মূলহোতা ওয়ার্ড(৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডের) আওয়ামী লীগের নেতা পরিচয়দানকারী ২ ব্যাক্তি। যারা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে  কথা বলতে ভয় পান। তাদের বিরুদ্ধে কিছু বললেই সামাদ গংদের দিয়ে হামলা ও মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করার মাধ্যমে এলাকা থেকে বিতারিত করাসহ মোটা অংকের অর্থ আদায় করা হয় সাজানো শালিসের মাধ্যমে। তাদের এমন অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ।

সামাদ গং খাজুলিয়া এলাকার বিধবা হায়তন নেছার  পরিবারের ২০ শতাংশ জমি জোর পূর্বক জবর দখল করে রেখেছে, বাওকপালীয়া এলাকার আঃ কাদের এর ৩ শতাংশ জমি, রাশিদুল ইসলামের ৬ শতাংশ, সিরাজুল ইসলামের ৩০ শতাংশ জমি জবরদখল করে রেখেছে। চন্দনীআটা এলাকার আব্দুস সামাদ (জেলে) ৩ বার জমি রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করলেও তাকে দখল উচ্ছেদ করে অন্যত্র বিক্রি করে তারা। মহেশপুর এলাকায় জমি দখল করাতে গিয়ে জয়নাল জলিলের উপর হামলা ও মিথ্যা  মামলার আসামী করা হয়। মামলাটি এখনো আদালতে চলমান।

 এছাড়াও রাস্তায় বেড়া দিয়ে এবং চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে জমি দখল ও ঘুষ বানিজ্য করার ঘটনাও অহরহ। ইতিপূর্বে বাওকপালীয়া এলাকার আঃ কদ্দুস খান (কবিরাজ)দের চলাচলের রাস্তায় প্রথমে বেড়া পরবর্তীতে সরকারি রাস্তায় স্থায়ী স্থাপনা (ঘর) নির্মাণ করে রেখেছে জোনাব আলী। নেপথ্যে রয়েছে ভূমিদস্যু সামাদ গং। 

এনিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যগন একাধিক শালিসর এবং রাস্তার বেড়া উচ্ছেদ করলে পরবর্তীতে রাস্তার অর্ধেকাংশে ঘর নির্মাণ করা হয়।  কুদ্দুসের পরিবার জানায় তাদের কাছে লোক মারফত ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করা হয়েছিল। ঘুষ দিতে রাজি না হওয়ায় রাস্তার উপরে ঘর নির্মাণ করা হয়।

এবিষয়ে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হলে প্রশাসন ভূমি অফিসের লোকজনকে ঘটনাস্থলে পাঠালেও রাস্তাটি ঠিকই বন্ধ করে রাখা হয়েছে।  

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, তারা প্রথমে সাবেক সাংসদ কেএম খালিদ, বর্তমানে কৃষিবিদ ড. নজরুল ইসলামের নাম ব্যবহার করে এসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। প্রভাবশালী ঐ দুই ব্যক্তিকে এসব অপকর্মের কারণে তাদেরকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিগত সংসদ নির্বাচনে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী কৃষিবিদ ড. নজরুল ইসলামের নির্বাচন করেন।  কৃষিবিদ ড. নজরুল ইসলাম বিজয়ী হওয়ায় এখন আরো বেপরোয়া এই চক্রটি।

 এলাকায় প্রচার রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগসাজশের মাধ্যমে জমি দখল ও ঘুষ বানিজ্য করে থাকেন এই চক্রটি। সবশেষ বাওকপালীয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের পুত্র দিন মুজুর  রাশিদুল ইসলামের ৬ শতাংশ জমি জবরদখল করতে এই প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নেতৃত্বে জবরদখলের চেষ্টা করা হয় এবং যাতে জমি টুকু দখল করতেই রাস্তায় বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন ও বর্তমান সাংসদ বরাবর অভিযোগ করেও ১৬ দিনেও কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। এদের বিরুদ্ধে এর আগেও উপজেলা প্রশাসন বরাবর অভিযোগ করলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এতে করে প্রশাসনের সাথে তাদের যোগসাজশের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

 গত ২৬ শে মার্চ সকালে সামাদগং দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এবং ভূমিদস্যু চক্রের নির্দেশে ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বারের পুত্র বিল্লাল হোসেন এবং কাইয়ুম কিছু ভাড়াটিয়া মাস্তান নিয়ে এসে রাস্তাটি বন্ধ করে দেন। তাতে আব্দুল কাদের এবং তার আশপাশে ৬টি পরিবারের একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি ১৬ দিন যাবত বন্ধ। এতে ৬ পরিবারের ৩৫ জন লোকজন গৃহবন্দী অবস্থায় দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। 

এই বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মুক্তাগাছা থানায় এবং স্হানীয় সাংসদ বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এখনো পর্যন্ত বাঁশে বেড়া সরানোর ব্যাপারে কার্যত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। এ বিষয়টিকে নিয়ে এলাকার চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

এ বিষয়ে সামাদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি বাঁশের বেড়া দেইনি। কে দিয়েছে এ প্রশ্ন করলে তিনি সদোত্তর দিতে পারেননি। এবং এ বিষয়ে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। 

এ বিষয়ে উক্ত গ্রামের ইউপি সদস্যের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সামাদ গংদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের শেষ নেই। তারা নিজেদের বর্তমান এমপির লোক দাবী করে সকল প্রকার অপকর্ম করে আসছে।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যবহৃত নাম্বারে যোগাযোগ করলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

উক্ত ঘটনায় মুক্তাগাছা থানায় আঃ কাদের বাদী থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হুমায়ূন। তবে ১৬ দিন অতিবাহিত হলেও রাস্তা অপসারণ হয়নি। এতে করে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনও অবরুদ্ধ রয়েছে পরিবার ৬টি। রাজনৈতিক প্রভাবে রাস্তা বন্ধ করে জমি দখল ও ঘুষ বানিজ্য বন্ধে মাননীয় জাতীয় সাংসদ, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দাবী জানান স্থানীয়রা। 

ধারাবাহিক ২য় পর্বে ভূমিদস্যু চক্রের মুলহোতাদের বিষয়ে বিস্তারিত প্রকাশিত হবে..........

বুধবার, ৬ মার্চ, ২০২৪

উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শামিমা আক্তার কে জগ প্রতিকে ভোট দিন- মতিন সরকার

মোমিন তালুকদার, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভা উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৯মার্চ। ত্রিশাল পৌরসভার গো-হাটা মাঠে জগ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী শামীমা আক্তারের নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন সরকার প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল আসনের সংসদ সদস্য এবিএম আনিছুজ্জামান এর সহধর্মিণী  শামিমা আক্তার কে জগ প্রতিকে ভোট দিন। 

বুধবার (০১ মার্চ) সন্ধ্যায় ত্রিশাল পৌরসভার গো-হাটা মাঠে নির্বাচনি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

ত্রিশাল পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ মতিউর রহমান চানুর সভাপতিত্বে
উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সরকার এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ফজলে রাব্বী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল নয়ন, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা হারুন অর রশিদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জুয়েল সরকার, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মাহবুবুল আলম, উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি সোয়েল মাহমুদ সুমন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছাব্বির আহমেদ ছানী, উপজেলা যুবলীগ নেতা তারিকুল হাসান আমির সহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার কাউন্সিলর বৃন্দ।

শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০২৪

ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করলেন সংসদ সদস্য এবিএম আনিছুজ্জামান

মোমিন তালুকদার, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর উপজেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং শেষে হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল আসনের সংসদ সদস্য এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ (এমপি)। 

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টায় হাসপাতাল পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় এমপি পুরো হাসপাতাল ঘুরে দেখেন। হাসপাতালে সেবা নিতে আসা বিভিন্ন রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা বিভিন্ন রোগীদের কাছে হাসপাতালের প্রদান করা সেবার মান সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। 

এ সময় হাসপাতালের সকল সমস্যা দ্রুত সমাধান করে হাসপাতাল থেকে জটিল রোগসহ যাবতীয় রোগের চিকিৎসা সেবা প্রতিটি মানুষের দ্বোরগড়ায় সহজেই পৌঁছে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গিকারকে শতভাগ বাস্তবায়ন করতে তার সার্বিক সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। 

পদির্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.নজরুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা পনর্বাসন সংস্থার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম মোমেন, অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা সরকার, ডাক্তার আব্দুল্লাহ সবুজ, ত্রিশাল উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফকরুদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সম্মানিত সদস্য তাসলিমা রত্না, সাংগঠনিক সম্পাদক মোমিন তালুকদার, সহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডাক্তার, কর্মকর্তা কর্মচারী ও ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

ত্রিশালে তামাক নিয়ন্ত্রণে নাটাবের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

মোমিন তালুকদার, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব) কর্তৃক আয়োজিত যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীতে তামাক বর্জন কর্মসূচি ...