রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৩

সংসদ নির্বাচনে মুক্তাগাছায় নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী রেজাউল করিম রেজা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মুক্তাগাছা উপজেলার জনগনের কাছে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরতে প্রতিনিয়ত উঠান বৈঠক, কর্মীসমাবেশ ও মোটারসাইকেল শোভাযাত্রসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের উজ্জীবীত করে চলেছেন ময়মনসিংহ (মুক্তাগাছা)- ৫ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী  মুহাম্মদ রেজাউল করিম রেজা। 

উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট মুক্তাগাছা  গড়তে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ (মুক্তাগাছা)- ৫ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চান তিনি। রেজাউল করিম রেজা সাবেক ময়মনসিংহ মহানগর প্রতিষ্ঠা কালীন  কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নৌকা মার্কায় ভোট প্রদানের জন্য অনুরোধ করছের তিনি। তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরাও তাকে নিয়ে আশা করছেন। কর্মী সমর্থকদের কাছে রেজাউল করিম রেজা একজন ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা হিসেবে পরিচিত।

স্কুল জীবন থেকে রেজাউল করিম রেজা তখন বঙ্গবন্ধুর প্রতি অকৃত্তিম ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন। এবং আনন্দমোহন কলেজের সাবেক ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন।
করোনা মহামারি কালীন সময়ে মুক্তাগাছা সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন । মাক্স বিতরণ করেছেন বিভিন্ন সময়ে মসজিদ মাদ্রাসায় অনুদান প্রদান করে থাকেন অসহায় গরীব দরিদ্র মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করেন। শীতকালীন সময়ে সাধারণ মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন ।গেল ১৫ বছর যাবত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোঁয়া সাধারণ মানুষের মাঝে পৌঁছিয়ে দিয়েছেন।ব্যক্তিগত জীবনে ইসলামী অনুশাসনে বিশ্বাসী এ নেতা গোটা  মুক্তাগাছার গর্ব। তার পিতা হাজী মুহাম্মদ কেরামত আলী ও পরিবারের সকলেই বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং পরিবারের তিনজন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। তার সহধর্মিনী সানজিদা খাতুন স্বর্ণা সদস্য বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ । রেজাউল করিম রেজা 
আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পরিবারের সন্তান হওয়ার কারণে দলের চরম দূর্দিনের সময় তিনি ও তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন সময় জুলুম ও নির্যাতনের  শিকার হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির প্রতি প্রচণ্ড আত্ববিশ্বিাসী বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ মহানগর কমিটিতে কার্যকারী সদস্য হিসেবে আছেন । রেজাউল করিম রেজা জনসেবায় নিজেকে সব সময় জড়িয়ে থাকতে পছন্দ করেন। তার ব্যক্তিগত অফিস ও বাসভবনে গিয়েও এমন চিত্র দেখা যায়। বর্তমান স্থানীয় এমপি থাকা সত্বেও লোকজন বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা নিতে আসেন তার নিকট। সদালাপি ও ধৈর্য্য ধরে কথা শোনার কারণে মানুষেরও আগ্রহে থাকছেন সবসময়।

ময়মনসিংহ মহানগরের কার্যকরী সদস্য রেজাউল করিম রেজা  বলেন, বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যদা অর্জন করেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের উন্নয়ন কর্মকান্ড জনগনের মাঝে তুলে ধরছেন তিনি। সেই সঙ্গে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত-সমৃদ্ধ, সুন্দর এবং বাসযোগ্য বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করতে তরুণ যুবকদের কাজে লাগাতে চান তিনি। গড়তে চান স্মার্ট মুক্তাগাছা। বিএনপি জোট সরকারের সময় দলের দু:সময়ে মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগের হয়ে কাজ  করেছেন তিনি। হামলা মামলার শিকার হয়েছেন। ও পরিবারের লোকজন বিভিন্ন সময় বিএনপির মিথ্যা মামলা জেল কেটেছেন।
 বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত হিসেবে তাকেই নেত্রী মনোনীত করবেন বলে আশাবাদী তিনি ও তার সমর্থকরা। তাকে দলের মনোনয়ন দিলে দলের ত্যাগী ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে দলমত নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে তাকে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করবেন বলেন দাবি করেছেন তিনি।

মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগসহ আওয়ামী অঙ্গ-সংগঠনের সমর্থকরা আছেন তার সঙ্গে। তার অনুসারীরা মনে করছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে তিনি নৌকার প্রতিক নিয়ে আসতে পারবেন। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, অপরাপর প্রার্থীর থেকে এবার রেজাউল করিম রেজা কোনও বিকল্প নেই।

মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৩

ত্রিশালের উন্নয়ন ও পল্লীবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তৃণমূলের আস্থা নাফিজ মাহবুব

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল আসন এলাকার উন্নয়নের মাধ্যমে পল্লীবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে জয়ী হওয়ার পর ত্রিশালবাসীর সুখে-দুঃখে পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন বিশিষ্ঠ জাপার তরুণ মেধাবী রাজনীতিবিধ, নাফিজ মাহবুব।
সে লক্ষে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তার  নিজ এলাকা ময়মনসিংহ-৭ আসনে ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণা ও সাংগঠনিক কার্যক্রম গতীশীল করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন জাপার এই কেন্দ্রীয় নেতা, জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সমন্বয় কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য নাফিজ মাহবুব।

একই সাথে পল্লীবন্ধুর স্বপ্ন নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন  বাস্তবায়নে ত্রিশালসহ সারাদেশে জাপা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের নেতৃত্বে দল কে সুসংগঠিত করতেও কাজ করে যাচ্ছেন নাফিজ মাহবুব।

ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) এলাকা ঘুরে জানা যায়, এই আসনে জাতীয় পার্টির কার্যক্রম জোরদার ও গতিশীল রেখেছেন নাফিজ মাহবুব। এই নেতার বাহিরে অন্য কোন নেতাকে লাঙ্গলের কান্ডারী হিসেবে দেখতে চাই না স্থানীয় নেতাকর্মীরা। একজন সৎ,দক্ষ,পরিশ্রমী মেধাবী তরুণ জনবান্ধব নেতা হিসাবে ত্রিশালের আসনটি জাপার দখলে রাখতে জনপ্রিয় এই নেতার জনপ্রিয়তাকেই ভরসা করছেন তৃর্ণমুলের নেতাকর্মীসহ উপজেলার সর্বস্তরের ভোটাররা।

ত্রিশাল জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, ত্রিশালে জাতীয় পার্টি কে এক নতুন মেরুকরণ করে বীজ রোপন করে চলছেন এই নেতার রাজনৈতিক কর্মদক্ষতার আলোকে, জাতীয় পার্টির রাজপথের কর্মী,রওশন এরশাদের অন্যতম সিপাহসালা নাফিজ মাহবুব। কেন্দ্রীয় রাজনীতি থেকে দিক নির্দেশনার মাধ্যমে ত্রিশাল জাতীয় পার্টি কে সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করে চলছেন এই নেতা, যার ফলশ্রুতিতে এখন পর্যন্ত চাঙ্গা রয়েছে ত্রিশাল জাতীয় পার্টি। সুতরাং এবার এ আসনে নাফিজ মাহবুব কে মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় নিয়ে আসনটি জাতীয় পার্টিকে উপহার দিতে  স্থানীয় নেতাকর্মীরা মত পোষণ করেছেন।

সম্প্রতি, জাতীয় পার্টির প্রধানপৃষ্টপোষক ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এমপি   প্রধানমন্ত্রীর  সঙ্গে একান্ত বৈঠকে আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা হস্তান্তর করেছেন বলে সুত্র জানিয়েছে। সেই তালিকায় ও  দলের চেয়ারম্যানের অগ্রিম মনোনয়নের তালিকায় নতুন করে ত্রিশালের তৃণমূলের পরিক্ষীত নেতা নাফিজ মাহবুবকে দেখতে চান স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

সুত্রটি আরো জানিয়েছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানপৃষ্টপোষক (দেবর-ভাবী) দুজনেরই গুডবুকে ময়মনসিংহ -৭ (ত্রিশাল) আসনে রয়েছেন  নাফিজ মাহবুব। এমন সংবাদে জাতীয় পার্টির স্থানীয় ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। এরই মধ্যে প্রথম সারির বিভিন্ন পত্রিকায় সেই তালিকাও প্রকাশ হয়েছে। সর্বশেষ ফাইনাল তালিকায়  যেন নাফিজ মাহবুব এর নাম  যুক্ত থাকে  সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছেন দলীয়  নেতাকর্মীরা।

নাফিজ মাহবুব বলেন, এমপি হতে নয় জাতীয় পার্টি করি পল্লীবন্ধুর স্বপ্ন নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন  বাস্তবায়নে। পল্লীবন্ধু আমাদের আদর্শ। আমি হলফ করে বলতে পারি জাতি এমন সহজ সরল উদার মনের নেতা আর পাবেন না।

তিনি আরও বলেন, ময়মনসিংহ -৭(ত্রিশাল) এলাকার জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা আমাকে এবার এ আসনে দেখতে চান। এ চাওয়া আমার একার না, এ চাওয়া ত্রিশালবাসীর।

জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, পার্টির হাইকমান্ড যদি আমাকে এ আসনে মনোনীত করেন ত্রিশাল বাসীকে সাথে নিয়ে আমি জাতীয়পার্টিকে এ আসন উপহার দিতে চাই।সেই সাথে পল্লীবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাই। সব শেষ দল যে সিদ্ধান্ত নিবেন এবং যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই দিবেন সেটা মেনে নিয়েই লাঙ্গলের জয়ের লক্ষ্যে কাজ করে যাবো।

তিনি বলেন, ‘মানুষ আমাকে ভালোভাবে নিয়েছে, তারা আমাকে বিশ্বাস করেছে। আশা করছি এই বিশ্বাসের প্রতিফলন আমার বিজয়ের মাধ্যমে ঘটবে। নাফিজ মাহবুব জানান-আমি কাউকেই বাদ দিতে চাই না,দ্বিধাবিভক্তি চাই না, আর এটা কখনোই ভালো কাজ না। দল-মতনির্বিশেষ সাধারণ নাগরিকদের নিয়ে আমি ত্রিশালের উন্নয়ন করতে চাই, তাদের সেবা দিয়ে যেতে চাই ইনশাআল্লাহ।

নাফিজ মাহবুব ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের উজানদাসপাড়া গ্রামের ১৯৭৭ সালের ২৬শে অক্টোবর  এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবার নাম কছিম উদ্দিন,মাতার নাম মাজেদা বেগম,দুজনেই পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভক্ত ও জাতীয় পার্টির নিবেদিত প্রাণ।

নাফিজ মাহবুব  জাতীয় পার্টির জাতীয় প্রস্তুতি কমিটির সদস্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, উত্তরা মিডিয়া ক্লাব, ঢাকা, মুখপাত্র বাংলাদেশ ভারত সাংস্কৃতিক মৈত্রী, প্রেসিডিয়াম মেম্বার শিকড় বাংলাদেশ, আজীবন সদস্য ময়মনসিংহ বিভাগ যুব সমিতি ঢাকা ও অটিজম সার্পোট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সদস্য।

তিনি তার নির্বাচনী এলাকা ত্রিশালের  সার্বিক উন্নয়নের আধুনিকতায় রূপ দিতে স্থানীয়  বেকারত্ব দূর করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে যুবসমাজ কে খেলাধুলার পরিবেশ সৃষ্টিতে মাঠ স্থাপন এবং রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ পুরোনো ঈদগাহ মাঠগুলোকে আধুনিকরণ করন, নিরক্ষরতা দূর করার জন্য গণশিক্ষা কার্যক্রম চালু, আধুনিক চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপনসহ যা যা করণীয় তাই করার পরিকল্পনা নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন।

নাফিজ মাহবুব আরো বলেন আমি এই ত্রিশাল  এলাকার ছেলে, এলাকার মানুষের আস্থা এবং সমর্থন পেয়েছি বলেই আগামী দ্বাদশ জীতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকেই নির্বাচন করবো। ময়মনসিংহ -৭ ত্রিশাল আসনের জনগণের কাছে তিনি দোয়া, সমর্থন এবং ভালোবাসা ও সহযেগীতা প্রত্যাশা করেন।

মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ত্রিশালে গাড়ির সাইট দেওয়াকে কেন্দ্র করে এক বৃদ্ধকে গুরুতর আহত করার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার আমিরাবাড়ি ইউনিয়নে অটো গাড়ি সাইট দেওয়াকে কেন্দ্র করে মোবারক হোসেন নামের  এক বৃদ্ধ অটোচালক কে গুরুতর আহত করার ঘটনা ঘটেছে, চিকিৎসার অভাবে ভাঙ্গা হাত নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বৃদ্ধ । 

স্থানীয় লোকজন ও ভিকটিম সূত্রে জানা যায়-ঘটনার দিন গত ইং- ০৭/০৯/২০২৩ ইং তারিখ সকাল বেলা মোবারক হোসেন  ত্রিশাল থানাধীন আমিরাবাড়ী সাইনবোর্ড বাসষ্ট্যান্ড হইতে অটোগাড়ী চালিয়ে কাশিগঞ্জ বাজারে যাওয়ার সময় ত্রিশাল থানাধীন আমিরাবাড়ী নামাপাড়া বাংলালিংক টাওয়ায়ের সামনে পাকা রাস্তায় পৌঁছাইলে  মোঃ আরিফ ও তাহার অটোগাড়ী চালিয়ে বিপরীত দিক হইতে আসিয়া সেখানে রাস্তা ভাঙ্গা থাকার কারনে মোবারকের অটোগাড়ী মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তখন উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটি শেষে উক্ত স্থান হইতে কাশিগঞ্জ বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হইয়া একটু সামনে যাওয়া মাত্রই আরিফ পিছন হতে মোবারকের উদ্দেশ্য করিয়া খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করিলে প্রতিবাদ করায় আরিফ ক্ষিপ্ত হইয়া অটোগাড়ী চালানো অবস্থায় বৃদ্ধ মোবারকের হাত ধরে টান মারিলে  অটোগাড়ীটি উল্টে যায় এবং ডান হাতটি অটোগাড়ীর নিচে পড়িয়া গুরুতর হাড়ভাঙ্গা জখম হয়। 

তখন আরিফ  হোসেন  খুন, জখমের ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ  জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হুমকি দিয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। অটোগাড়ীতে থাকা যাত্রী- আলী হোসেন (৬০),  শামীম (৩২) ও আহত হন। 

স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে বৃদ্ধ মোবারক কে গুরুতর জখমী অবস্থায় উদ্ধার করে তার ছেলে মোস্তফা কামালকে মোবাইল ফোনে ঘটনার বিষয়ে জানালে পরিবারের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। মোবারক হোসেন চিকিৎসা গ্রহন করে কিছুটা সুস্থ্য হয়ে ত্রিশাল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। 

বৃদ্ধ অটোচালক মোবারক হোসেন ও তার পরিবারর, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করেন। এ ব্যাপারে ত্রিশাল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন বলেন  অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলছে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ত্রিশালে মোজাদ্দেদীয়া ফিলিং স্টেশনের মালিকানা দ্বন্ধের জেরে থানায় অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টারঃ
ফিলিং স্টেশনের মালিকানা দাবীর অভিযোগ উঠেছে। ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বাগান এলাকায় প্রতিষ্ঠিত মেসার্স মোজাদ্দেদীয়া ফিলিং স্টেশন নিয়ে দ্বন্ধের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, মেসার্স মোজাদ্দেদীয়া ফিলিং স্টেশনের কাগজপত্রে প্রকৃত মালিক সোহেল রানা। কিন্তু তার বড় ভাই আব্দুল মান্নান ও তার ছেলে বদরোজ্জদা হায়দার অভি কাগজপত্র জালিয়াতি করে ওই স্টেশনটির ৪০ শতাংশ মালিকানা দাবী করে আসছে। এই বিষয়ে সোহেল রানা ত্রিশাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল মান্নানের ছেলে বদরোজ্জদা হায়দার অভি নিজেকে যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছে। সোহেল রানার মালিকানাধীন ফিলিং স্টেশনটি দখলে নিতে সোহেল রানাকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। বদরোজ্জদা মেসার্স মোজাদ্দেদীয়া ফিলিং স্টেশনের নামে ভিজিটিং কার্ড তৈরি করে বিভিন্ন জায়গায় পরিচয় দিয়ে আসছে, তারা এই ফিলিং স্টেশনটির মালিক প্রচার করে বেড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সোহেল রানা বলেন, আমার বড় ভাইয়ের সাথে আমার ১৯ অক্টোবর ২০১১ সালে একটি চুক্তিপত্র হয়েছিল। ঐ চুক্তিপত্রের কয়েকদিন পরে ২৫ অক্টোবর ২০১১ সালে আরেকটি চুক্তিপত্র হয় এতে ফিলিং স্টেশনের পুরো মালিকানা আমার হয়ে যায়। পরে আমার বড় ভাই ও ভাতিজা বিভিন্ন সময় আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিতে থাকে।

এ বিষয়ে আমি ত্রিশাল থানায় অভিযোগ করি। ওসি স্যার দরবার করেছে। বড় ভাইকে বলেছে তার কাগজপত্র যতটুকু আছে তা মামলা করার মত নয়। আমার কাছে কোর্টের নোটারী সার্টিফিকেট আছে। আমার ভাই যে চুক্তিপত্র দেখাচ্ছে তার কোনো নোটারিও নেই। এমনকি আমার স্বাক্ষরও নেই।

অভিযোগকারী আব্দুল মান্নান বলেন, আমার কাছে সাক্ষীসহ চুক্তিনামা আছে। স্থানীয়ভাবে সংকট নিরসনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। সঠিক বিচার পেতে ত্রিশাল থানায় আমিও লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। পুলিশ সোহেলের পক্ষ নিয়ে কাজ করছে। ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাইন উদ্দিন বলেন, থানায় দুই পক্ষকে ডেকে আনা হয়েছিল। বাদী ও বিবাদীর দুই পক্ষের কাগজপত্র দেখেছি। আব্দুল মান্নানের চুক্তিনামার প্রথম পাতায় কারও স্বাক্ষর ছিলনা।

এ কাগজ দিয়ে কোন মামলা রুজু বা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো সুযোগ নাই। আব্দুল মান্নানকে বলেছি এখানে পুলিশের করার কিছু নেই। আপনি আদালতের ধারস্থ হতে পারেন। ফিলিং স্টেশনে কোনো প্রকারের বিশৃঙ্খলা করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩

ত্রিশালে আনন্দঘন পরিবেশে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী হাডুডু খেলা অনুষ্ঠিত

মোমিন তালুকদার, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আধুনিক সভ্যতার ছোঁয়া ও কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার প্রাচীন খেলা কাবাডি বা হাডুডু। ঐতিহ্যবাহী এ খেলাটি এখন গ্রামবাংলা থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে।
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সদর ইউনিয়নে মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে বাগান গ্রামের উদ্যোগে হাডুডু টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৬ আগষ্ট) বিকালে বাগান ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী, ত্রিশাল পৌরসভা থেকে তিন তিনবার বিপুল ভোটে নির্বাচিত মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ।
ত্রিশাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিকের  সভাপতিত্বে ও ইউপি সদস্য জোবায়ের হোসেনের সঞ্চালনায় খেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি সোয়েল মাহমুদ সুমন, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুমন, পৌর প্যানেল মেয়র-১ রাশিদুল হাসান বিপ্লব, উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম স্বপন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা সরকার, পৌর মৎস জীবী লীগের আহ্বায়ক সোহাগ উদ্দীন আকন্দ প্রমুখ।
খেলায় অংশগ্রহণ করে ত্রিশাল উপজেলা কাবাডি মূল দল ও উপজেলা শ্রমিক ইউনিয়ন।
খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন, সাবেক কাবাডি খেলোয়াড় ও বর্তমান ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম (নজি)।

খেলার ফলাফল ত্রিশাল উপজেলা কাবাডি মূল দল-১ ও উপজেলা শ্রমিক ইউনিয়ন-১ এ ড্র হয়ে ফলাফল অমীমাংসিত।

সাহিত্য সম্মাননা পদক পেলেন কবি এস এম মাসুদ রানা

মোমিন তালুকদার, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশালের লেখক এস এম মাসুদ রানা জাতীয় লেখক ও শিল্পী পরিষদ এর সাহিত্য  সম্মাননা পদক পেয়েছেন।

শনিবার দুপুরে চৌধুরী ফাতেমা বেগম পৌর অডিটোরিয়াম, শিবচর, মাদারীপুরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জাতীয় লেখক ও শিল্পী জাতীয় লেখক ও শিল্পী পরিষদের তৃতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এ পুরস্কার দেয়া হয়।
কবি শরীফ আব্দুর রশীদ' র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ হোসাইন, যুগ্ম জেলা ও সেশন জজ আদালত, বগুড়া প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন 
কবি সৈয়দ মাজহারুল পারভেজ, অনুষ্ঠান উদ্ধোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি আখম সিরাজুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ রাজিবুল ইসলাম, শিবচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অফিসার ইনচার্জ, শিবচর থানা, হাফিজ রহমান, প্রকৌশলী, 
ইরানি বিশ্বাস, নাট্যকার, কবি, মোঃ মাহবুবুর রহমান, মোঃ তারিকুজ্জামান তুষার,  চেয়ারম্যান, নুর ফ্যাশন গার্মেন্টস, কবি মোহাম্মদ শামসুল হক বাবু, কবি শেখ নাজিম উদ্দীন আহমেদ সোহাগ প্রমূখ। 
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক আঞ্জুমান জুলিয়া। 

শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৩

ত্রিশালে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা, দোয়া ও গণভোজ

মোমিন তালুকদার, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, দোয়া ও গণভোজের আয়োজন করেছেন ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ১০নং মঠবাড়ী ইউনিয়ন আওযামীলীগ।

শুক্রবার বিকেলে পোড়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ শোক সভার আয়োজন করা হয়। মঠবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামছুদ্দিন মন্ডলের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক বাবু গৌরঙ্গ কুমার সাহার সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম মোঃ শামসুদ্দিন।
প্রধান বক্তা ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ফজলে রাব্বী, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আশরাফুল ইসলাম মন্ডল, মঠবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুছ মন্ডল, বৈলর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুমন , উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির নেতা তাজুল ইসলাম সহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ত্রিশালে তামাক নিয়ন্ত্রণে নাটাবের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

মোমিন তালুকদার, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব) কর্তৃক আয়োজিত যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীতে তামাক বর্জন কর্মসূচি ...